প্রফেসর মুহাম্মদ আবদুল মুকতাদির।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা,
ইংরেজীর অধ্যাপক,হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল,
জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত,
অনারারী মেজর উপাধিপ্রাপ্ত,
একজন লেখক,
একজন গবেষক।
১৯৪৮ সালের ১০ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার সিংহগ্রামে প্রফেসর মুহাম্মদ আবদুল মুকতাদির জন্ম গ্রহন করেন।
১৯৬৪ সালে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করেন।
১৯৬৬ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।
১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে বিএ অনার্স পাশ করেন।
১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে এমএ পাশ করেন।
১৯৭০ সালে প্রথমে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪ নং সেক্টরে চলে যান। দায়িত্ব পান ৪ নং সেক্টরের অফিসার ক্যাডেট পদে। পাকিস্তান বাহিনীর বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে আবার অধ্যাপনা পেশায় যোগ দেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর ( BNCC) তাঁকে “অনারারী মেজর” পদ দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
চট্রগ্রাম কলেজের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
পরে নিজ জন্মভুমি হবিগঞ্জ চলে আসেন। যোগদেন হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে।
১৯৯৬ সালে জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ট কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে স্বর্নপদক গ্রহন করেন।
হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল হন।
২০০৬ সালে অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহন করেন।
বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ শহরে নিজ বাসায় বসবাস করছেন।
প্রফেসর মুহাম্মদ আবদুল মুক্তাদির একজন লেখক ও গবেষক।